এনএম সজীব, স্টাফ রিপোর্টার: দিনাজপুরের বিরামপুরে এক পা বিশিষ্ট শিশু সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার বিকালে সােয়া ৫ টায় বিরামপুর মডার্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয় তাসলিমাকে,পরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার যমজ সন্তানের জন্ম হয়। তাদের মধ্যে একটি মেয়েসন্তান এবং অপরটি প্রস্রাব ও পায়ুপথবিহীন এক পা বিশিষ্ট সন্তান।

জানা যায়,২০১৪ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখরিয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মাহাফুজুল ইসলামের সাথে একই এলাকার তোকছেদ আলীর মেয়ে তাসলিমার বিয়ে হয়। এর পর তাদের সংসার আলো করে এক পুত্র ও এক কণ্যা সন্তান। সম্প্রতি আবারো গর্ভবতী হন তসলিমা। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে গর্ভে জমজ সন্তানের বিষয়টি নিশ্চিত হলে পারিবারিক ভাবে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রসব বেদনা উঠলে তাসলিমাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়।

বিকেল সােয়া ৫টার দিকে তার সিজার সম্পন্ন হয়। তবে প্রথমটি কণ্যা সন্তান  হলেও দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের সময় ঘটে ব্যতিক্রমী ঘটনা।

জন্ম হয় এক পা বিশিষ্ট সন্তানের। প্রাথমিক ভাবে ওই শিশু সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারেনি চিকিৎসক। এ ঘটনার পর প্রস্রুতি মা সহ ভূমিষ্ট হওয়া দুই শিশুই সুস্থ্য রয়েছে। এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলে ঐ শিশুকে এক নজর দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসতে শুরু করে উৎসুক জনতা।

শিশুটির পিতা মাহিফুজুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ভ্যানচালক। জমজ সন্তানের বিষয়টি জানার পর থেকেই খুব চিন্তিত ছিলেন আমার স্ত্রী। তাই সিজারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু এক পা বিশিষ্ট যে সন্তান হয়েছে আমাদের তা ব্যতিক্রম। আর শিশুটি ছেলে না মেয়ে এখনো বোঝা যাচ্ছে না। আল্লাহ ভরসা সবাই সুস্থ্য আছেন বলে জানা যায় ।

উল্লেখ্য,সিজারিয়ান অপারেশন করা চিকিৎসক ডা. তাহেরা বেগম জানান, জেনেটিক্যাল সমস্যার কারণে জন্মগতভাবে শিশুটির ত্রুটি দেখা দিয়েছে। শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হবে। অপারেশনের মাধ্যমে তার প্রস্রাব ও পায়ুপথ বের করা না গেলে তার বেঁচে থাকা সংকটের মধ্যে পড়তে পারে বলে জানান।